চা চক্রে রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ : পাহাড় ইস‍্যুতে বিঁধলেন মুখ‍্যমন্ত্রীকে

3rd November 2020 9:36 am বাঁকুড়া
চা চক্রে রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ : পাহাড় ইস‍্যুতে বিঁধলেন মুখ‍্যমন্ত্রীকে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা তারাই এখন তৃনমুলের নেতা, তাদের হাত ধরে মমতা ব্যানার্জী পাহাড়ে উঠতে চাইছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে রসিকগঞ্জে চায়ে পে চর্চার কর্মসুচি তে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  এদিন সাতসকালেই বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চায়ে পে চর্চা কর্মসুচীতে যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ,  দলীয় নেতা ও কর্মিদের নিয়ে চায়ে পে চর্চা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলেন রাজ্য সভাপতি।  এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের রাজ্যপালের পাহাড় সফর নিয়ে যারা বিরোধিতা করছেন তাদের পাহাড়ে ওঠার হিম্মত নেই তাই তারা রাজ্যপাল কে বিভিন্ন ভাবে ক্রিটিসাইজ করছেন।  দিলীপ বাবু বলেন রাজ্যপালের পাহাড় সফর যুক্তি সম্মত। রাজ্যপালের পাহাড়ে যাওয়াতে পাহাড়ের মানুষ সাহস পাবে উতসাহিত হবে।  একজন গভর্নর গভর্নরের মত কাজ করছেন রাজ্যপালের পাহাড় সফর প্রসঙ্গে এমনি মত দিলীপ ঘোষের।  আজ নবান্নে বিমল ও বিনয় কে নিয়ে বৈঠক রয়েছে রাজ্যের এই প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, যারা রাষ্ট্রদোহি যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ রয়েছে তাদের হাত ধরে মমতা ব্যানার্জী পাহাড়ে উঠতে চাইছেন।  মমতা ব্যানার্জী যাই করুক পাহাড়ে তৃনমুলের ঝান্ডা উড়বে না। আর মমতা ব্যানার্জী যাদের সাথে হাত মেলাবেন পাহাড়ের মানুষ তাদের সহ্য করবে না বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে  এদিন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন দরজা খোলা আছে যে দিন খুশি আসতে পারেন।  চায়ে পে চর্চা সেরে বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে পায়ে ফুটবল নিয়ে শারিরিক চর্চা  করে ফেলেন দিলীপ  বাবু।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।